ছাপাইচিত্রের পরম্পরা

ছাপচিত্র-শিল্প সৃজনীশক্তি ও নান্দনিকতায় জনপরিসরে প্রসারিত হবার দাবি রাখে। প্রাথমিকভাবে মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে ছাপচিত্র মাধ্যমের বিকাশ ঘটেছিল। ক্রমান্বয়ে শিল্পীরা ছাপচিত্রের নানা করণকৌশল আত্মস্থ করেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে দৃশ্যশিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ছাপচিত্র প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা লাভ করে। ঐতিহাসিক ভিত্তি ও বহুল চর্চা থাকা সত্ত্বেও, ছাপচিত্র সাধারণ মানুষের কাছে এখনও সুপরিচিত নয়।

চিত্রকলার চিরায়ত ধ্যান-ধারণা ও পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছাপচিত্র শিল্প। এ-মাধ্যমে প্রয়োজন বিশেষায়িত টুলস, মেশিন, স্টুডিও এবং করণকৌশল। ছাপচিত্রের মূল তিনটি পদ্ধতি  ইন্টাগ্লিও, রিলিফ ও লিথোগ্রাফি। ড্রাই পয়েন্ট, এচিং, কাঠখোদাই, প্লেনোগ্রাফি বহুল চর্চিত হলেও, সিল্কস্ক্রিন, ডিজিটাল প্রিন্টসহ বিভিন্ন নতুন নতুন মাধ্যমে শিল্পীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন।

বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলা আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ছাপচিত্রের বিকাশ। শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদ ও মোহাম্মদ কিবরিয়ার হাতেই এ-দেশে ছাপচিত্রের শক্তিশালী ভিত গড়ে উঠেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের শিল্পীরা এ-মাধ্যমে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সূচনা করেছিলেন তা সমসাময়িক শিল্পীদের চর্চায় প্রবহমান।

এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প-শিক্ষার পুরোধা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, সফিউদ্দীন আহমেদ, আনোয়ারুল হক, মুর্তজা বশীর, রশিদ চৌধুরী প্রমুখ ছাপচিত্রের মর্যাদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। পরবর্তীকালে দেশে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি-উদ্যোগে বহু ছাপচিত্র স্টুডিও গড়ে উঠে, যেখানে নবীন শিল্পীরা তাঁদের চর্চা অব্যাহত রেখেছেন।

’ছাপাইচিত্রের পরম্পরা’ প্রদর্শনীতে ঐতিহাসিক ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরম্পরা ও নিরীক্ষা-প্রবণতা তুলে ধরতে, পঞ্চাশের দশক থেকে সমসাময়িককালের ছাপচিত্রীদের নির্বাচিত শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম, শিল্পী শহিদ কবির এবং শিল্পী ও অধ্যাপক আবুল বারক্‌ আল্ভী।

অনুষ্ঠানে সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ।

– বেঙ্গল ফাউন্ডেশন

উদ্বোধন সন্ধ্যাটা
১১ মে ২০২৪, শনিবার
লেভেল ৩, বেঙ্গল শিল্পালয়

প্রদর্শনী চলবে ১১ জুন ২০২৪, বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, রোববার ছাড়া
কামরুল হাসান প্রদর্শনশালা, লেভেল ১, বেঙ্গল শিল্পালয়
বাড়ি ৪২, সড়ক ২৭, ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৯

শিল্পী তালিকা
অসীত মিত্র . আনিসুজ্জামান আনিস . আবু আল নাঈম . আবুল বারক্‌ আল্ভী . আবুল হোসেন ঢালী . আব্দুল্লাহ আল বশীর . আব্দুস সালাম . আমিনুল ইসলাম . আশরাফুল আলম রানা . আসমিতা আলম শাম্মী . আহমেদ নাজির . ঋতুরূপা তালুকদার সাথী . এস কে এম সাদী আহমেদ . ওয়াকিলুর রহমান . কাইয়ুম চৌধুরী . কামরুল হাসান . কামরুজ্জামান সাগর . কালিদাস কর্মকার . চিত্রম সাহা . জয়নুল আবেদিন . জয়া শাহরীন হক . জাফর ইকবাল . জাফরিন গুলশান . ঝোটন চন্দ্র রায় . তাহিয়া হোসেন . নিহাররঞ্জন সিনহা . নগরবাসী বর্মণ . নাজিব তারেক . নাসির বিশ্বাস . নিত্যানন্দ গাইন . পলাশবরণ বিশ্বাস . প্রশান্ত কর্মকার বুদ্ধ . ফাওয়াজ রব . ফারেহা জেবা . ফারজানা আহমেদ . ফারজানা রহমান ববি . ফারহানা ইয়াসমিন . বনি আদম . মনিরুল ইসলাম . মাহমুদা সিদ্দীকা . মাহমুদুল হক . মুনতাকীম শাওন . মুর্তজা বশীর . মো. জসীম উদ্দিন . মো. নাজির হোসেন খান . মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন . মো. রফিকুল ইসলাম . মো. হোসনে জামাল . মোখলেসুর রহমান . মোহাম্মদ কিবরিয়া . মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম  . মজুমদার . রফিকুন নবী . রশীদ আমিন .  রশিদ চৌধুরী . রানিয়া আলম . রাফি হক . রাশীদা আক্তার . রুজভেল্ট বেঞ্জামিন ডি’রোজারিও . রুমানা রহমান . রুহুল আমিন তারেক . রুহুল করীম রুমি . রোকনুজ্জামান উজ্জ্বল . রোকেয়া সুলতানা . শহিদ কবির .শুভ সাহা . সফিউদ্দীন আহমেদ . সাইদুল হক জুইস . সাদেক আহমেদ . সুজিত সরকার . সুবর্ণা মোর্শেদা . সুলতান . সৌরভ চৌধুরী . স্বপন কুমার সানা . হাবিবুর রহমান . হামিদুজ্জামান খান . হীরা সোবহান .

কৃতজ্ঞতা স্বীকার –  কসমস আতেলিয়ার ৭১ . চারুকলা  অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় . চারুকলা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় . ছাপচিত্র বিভাগ, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় . ছাপচিত্র বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় . সফিউদ্দীন শিল্পালয় . সংগ্রাহক আবুল খায়ের .  সংগ্রাহক বেঙ্গল ফাউন্ডেশন

The exhibition ‘Chhapaichitrer parampara’ brings to light the tradition and evolving practices of printmaking in Bangladesh, from the 1950s to the present, by showcasing selected artworks.
Initially, the development of printmaking occurred alongside the practice of printing and publishing. Gradually, artists mastered various techniques, and printmaking gained institutional recognition as an important medium in visual arts. Despite its historical basis and practice, printmaking is still not widely known to the public.
Printmaking differs significantly from traditional art practice in its attention to detail, technique, and method. It requires specialized tools, machinery, studios, and craftsmanship. The main techniques of printmaking are intaglio, relief, and lithography. While methods like drypoint, etching, woodcut, and planoographic are well-known, artists continually experiment with new mediums such as silk screen and digital prints.
In Bangladesh, the development of printmaking is closely intertwined with the modern art movement. Artists Safiuddin Ahmed and Mohammad Kibria laid the foundations of printmaking in this country.. The experimentation and exploration done by artists of the second and third generations in this medium, continue to inspire and thrive in contemporary practice.
Eminent figures in art education in the country, namely Shilpacharya Zainul Abedin, Quamrul Hassan, Safiuddin Ahmed, Anwarul Haque, Murtaja Baseer, and Rashid Chowdhury, among others, realised the significance and necessity of printmaking. In subsequent years, numerous printmaking studios have been established in the country through government and private initiatives, providing platforms for young artists to continue their exploration.

Renowned artists Monirul Islam, Shahid Kabir and Professor Abul Barq Alvi will launchthe show at 6 PM on Saturday 11 May 2004, at Bengal Shilpalay (Level 3). You are cordially invited to attend.

Bengal Arts Programme

The show is on view until 11 June 2024, from 4 to 8 PM every day, except Sundays
Quamrul Hassan Exhibtion Hall, Bengal Shilpalay
House 42   Road 27   Dhanmondi  Dhaka 1209

Enter your keyword